তোমায় নিয়ে কবিতা লিখবো কিভাবে বলো,
শুরু কি হবে তোমার গুনোগান করে
নাকি তোমার প্রশংসা
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখবো কিভাবে বলো,
শুরু কি হবে তোমার গুনোগান করে
নাকি তোমার প্রশংসা
হাশিমুখের আড়ালে থাকা দুঃখগুলো ,
একদিন ফুলে ফেফে উঠবে।
মুখোসের আড়ালে থাকা দাগগুলো,
একদিন সবাই দেখতে পারবে।
সবসময় সবকিছুর হিসাব মিলেনা,
সাত পাছ মিলালেও হয়ে যায় তের,
আমরা না হয়ে, হয়ে যায় আমি আর তুমি,
কাছাকাছি এসেও হাত ধরা হয়না,
তুমি কি জান কি পরিমানে ভালবেসেছিলাম আমি তোমায়,
কি ভাবে চেয়েছিলাম তোমাকে,
কত রাত কেটেছে ফোন হাতে,
ঘুম কে দিয়েছি বিসর্জন -
প্রিয় এ কেমন রুপ তোমার,
একটু থেকেই হারিয়ে যাও
একটু দেখা দিয়েই চলে যাও,
দিতে পারোনি কিছু কবু ,
এখন তো তোমার আগের মত কবিতা হয়না
এই যে বসলাম লিখতে
বছরের প্রথম কিছু শব্দ
বছরের প্রথম কিছু অনুভুতি।
সব প্রেমের চিঠি ফিরে পাক
তাদের গন্তব্য,
তারা ফিরে পাক-
তাদের অপেক্ষায় থাকা পাঠকের,
পাঠক ফিরে পাক,
ফাগুনের দিনে যদি লিখা নাহয় কিছু
না কবিতা, না দুঃখ ভরা উপন্যাস, না সংলাপ,
তাহলে কি আজ কোনো ফুল ফুটবে?
ধন্যবাদ তোমায়,
তোমার জন্য দেখেছি আরেকটি ফাগুন
তবে এই ফাগুন কেমন খালি খালি
ফুলের গন্ধতেও কেনো জানি সুবাস নেই
যদি কবিতা লিখি তোমায় নিয়ে,
এই পহেলা ফাগুনের রাতে,
ফুল হাতে দাড়িয়ে থাকবে কি বলো?
নীল শাড়িতে সোনালী প্রান্তরে।
আমি খুঁজছি প্রেম বহুকাল ধরে
কখনো শীতের শুরুতে বা হেমন্তের বিকেলে
তাও আমি পাইনি প্রেম কে কাছে পেতে কখনো
তাই আজ লিখছি এই কবিতা প্রেম কে হারানোর।
একে একে সব হারিয়ে যায়
মানুষের থেকে মনুষ্যত্ব,
মুখ থেকে হাসি,
মন থেকে পুরোনো প্রেমিকা,
পতিতা টাকার বিনিময়ে কি সব পাওয়া যায়?
তোমার দেহ, তোমার মন, তোমার ভালবাসা,
পাওয়া যায় কি?
দূরে উড়ে যাক, পুড়ে যাক
আজ আমার স্বপ্ন থেকে গুছে যাক,
এই শেষ রাতে অন্ধকার আকাশে-
মিশে যাক,
জীবনের উপর আমি মৃত্যুকেই বেছে নিবো বারংবার
হাসিমুখ নয়, অশ্রু দিয়েই শেষ হোক আমার
জীবনের পাঠ। সরাপের ঘাপলা টাও ফুরিয়ে আসছে
সাকি কে দেখেও লাভ হলোনা,
তার জানা আছে
শেষ হবে কি গল্প এবার?
মদ্যপ আমি
শুধু তোমায় দেখে
আমার হুঁশ ফিরে আসে
নীল শাড়িতে কতো অপেক্ষা করিবে তার
শেষ হবে কি গল্প এবার?
আরেকটি ফাগুন
ধন্যবাদ তোমায়,
তোমার জন্য দেখেছি আরেকটি ফাগুন
তবে এই ফাগুন কেমন খালি খালি
ফুলের গন্ধতেও কেনো জানি সুবাস নেই
পাখির ডাকে কেনো জানি সুর নেই
এই বসন্ত হয়ে আছে
এক বিষাদভরা দিবস।
ফাগুনের দিনে
ফাগুনের দিনে যদি লিখা নাহয় কিছু
না কবিতা, না দুঃখ ভরা উপন্যাস, না সংলাপ,
তাহলে কি আজ কোনো ফুল ফুটবে?
বা গাছের ডালে মিষ্টি সুরে
কোনো পাখি কি গান গাইবে?
তোমায় নিয়ে লিখা কবিতা
যদি কবিতা লিখি তোমায় নিয়ে,
এই পহেলা ফাগুনের রাতে,
ফুল হাতে দাড়িয়ে থাকবে কি বলো?
নীল শাড়িতে সোনালী প্রান্তরে।
প্রেমের খোঁজে
আমি খুঁজছি প্রেম বহুকাল ধরে
কখনো শীতের শুরুতে বা হেমন্তের বিকেলে
তাও আমি পাইনি প্রেম কে কাছে পেতে কখনো
তাই আজ লিখছি এই কবিতা প্রেম কে হারানোর।
হুট করে হয়না
হুট করেই কবিতা হয়,
রাস্তার ধারে বৃষ্টির দিনে হাঁটা পথে,
অপরিচিত মানুষের মিষ্টি চোখে,
নতুন শহরের মিষ্টি গন্ধে,
প্রাক্তন প্রেমিকের হারানো সুবাসে।
একে একে সব হারিয়ে যায়
একে একে সব হারিয়ে যায়
মানুষের থেকে মনুষ্যত্ব,
মুখ থেকে হাসি,
মন থেকে পুরোনো প্রেমিকা,
শুধু রয়ে যায় কিছু
না বলা কথা, না লিখা কবিতা।
পৃথিবীর সব সৌন্দর্য
পৃথিবীর সব সৌন্দর্য একদিনে দেখতে নেই
কাওকে পুরো হৃদয় দিয়ে ভালবাসতে নেই ।
স্বাধীনতা
শুনলাম তোমার নাকি অনেক স্বাধীনতা
তবে আমার ততে চুমু খাওয়ার স্বাধীনতা
কি তোমার আছে?
নামহীন কবিতা ৬
Mandatory - তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট
Optional - তোমার দেহে আমার ভালবাসার ক্ষতচিহ্ন
আজ আমাকে আগে বাঁচতে হবে
এক বছর আগে বললেও,
হয়তো সকালে উঠে,
সবচেয়ে সুন্দর পাঞ্জাবী আর কোট পরে,
সকাল সকাল মণ্ডপে হাজির হতাম,
তোমার দেখা পেতে,
তবে আজ না,
আজ আগে আমাকে ঠিক হতে হবে,
আজ আমাকে আগে বাঁচতে হবে।
তাও কি তুমি আমার হও?
পতিতা টাকার বিনিময়ে কি সব পাওয়া যায়?
তোমার দেহ, তোমার মন, তোমার ভালবাসা,
পাওয়া যায় কি?
প্রিয় তোমার চুলের স্নিগ্ধ ঘ্রাণ
দুঃখের দিনের একজন সাথী।
তোমারি জন্য লিখা কবিতায়
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখবো কিভাবে বলো,
শুরু কি হবে তোমার গুনোগান করে
নাকি তোমার প্রশংসা
দু একটা মন্দ কথাও বলা যায়
তবে তা বলি কিভাবে
আমার যে এখনো তোমাকে চেনা বাকি।
নামহীন কবিতা ৫
যদি ললাট যায়, যাবে
ধ্বংসযজ্ঞের শেষে,
প্রেমের হয়ে যাবে।
নামহীন কবিতা ৪
হয়তো দেখা হবে
পদ্মা নদীর তীরে
নাম না জানা চরের |পারে
নামহীন কবিতা ৩
ভালবাসতে হলে
কষ্ট পেতে হয়
দুঃখ সইতে হয় |
নামহীন কবিতা ২
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া
এক হাতের উপর আরেকটি হাত
চোখে অশ্রু
নামহীন কবিতা ১
মাঘের রাতে
তোমার রক্ত আমার হাতে
পাপীরা আতঃগোপনে |
স্মৃতি তোমার
দূরে উড়ে যাক, পুড়ে যাক
আজ আমার স্বপ্ন থেকে গুছে যাক,
এই শেষ রাতে অন্ধকার আকাশে-
মিশে যাক,
ফানুসের আগুনে,
যতো আছে, স্মৃতি তোমার ।
প্রিয় সম্পর্ক
মেঘ আর কতই কথা বলবে তোমার
ভালবাসতে তো সবাই পারে
কিন্তু ভালো রাখতে কয়জনই বা পারে ।
প্রিয়
প্রিয় এ কেমন আচার তোমার,
একটু থেকেই হারিয়ে যাও
একটু নিয়েই চলে যাও,
দিতে পারোনি কিছু কভু
নিয়েই গেছো জীবন পুরো।
জীবনের পাঠ
জীবনের উপর আমি মৃত্যুকেই বেছে নিবো বারংবার
হাসিমুখ নয়, অশ্রু দিয়েই শেষ হোক আমার
জীবনের পাঠ।
ধন্যবাদ এভাবে না
ধন্যবাদ যদি দিতে চাও,
এসো আমার কলমের কালি হয়ে
এসো আমার গানের সুর হয়ে ।
সরাপের উষ্ণতা
সরাপের ঘাপলা টাও ফুরিয়ে আসছে
সাকি কে দেখেও লাভ হলোনা,
তার জানা আছে ।
আমার জীবন রস আজ ফুরিয়েছে
শুধু দুঃখের খাতায় বাকি আছে ,
সেখানে লিখতে হবে আজ কবিতা
কলমের কালিটাও নেই ।
প্রেম ছাড়া বাঁচবে কি করে
প্রেম ছাড়া বাঁচবে কি করে
ভোরের পাখির ডাক শুনবে কি করে
আকাশের গর্জন বুঝবে কি করে
নতুন দিনের শুরু করবে কি করে
স্থানের কারণে
স্থানের কারণেই যত ভেদাভেদ,
দূরত্বের কারণেই দূরে থাকা,
ভালোবেসে হারিয়ে যাওয়া
তোমার এই রাজধানীতে,
তোমার এই অচেনা নগরে।
অপেক্ষার দায়
কন্ঠের অপেক্ষায় দিবস যায়,
কবে আসিবে সে আমার উঠোনে,
দিবস কাটে, রাত্রি কাটে,
পৌঁছায়না তার কন্ঠ আর আমার কানে।
গোলাপের স্বর্গ
গোলাপের স্বর্গে হবে তোমার স্থান,
লাল পাঁপড়ি সকল তোমার তুঁতের মতো,
গাঁঢ় অন্ধকারেও তুমি দাও আলো
আমার গোলাপের স্বর্গের মধ্যখানে।
শাড়িতে তুমি
শাড়ি পরে এসো কখনো আমার সামনে,
পদ্মফুল এনে দিবো তোমার পূর্বে
আকাশের চাঁদ ও জেগে থাকবে,
দিতে তোমারই চেহারায় রূপের ফুলঝুরি ।
ফের দেখা হবে
চিরকাল ধরে চেয়ে আছি আমি
কোনো নিশি রাতের আকাশের পানে,
পাখনা মেলে উড়ে যায় কত রাখির পাখি,
স্থির হয়ে বসে থাকা আমি-
চাঁদ তারার দিকে তাকিয়ে তোমারই স্মরণে ।
প্রিয়র স্বপ্ন
প্রতি রাতেই আসো তুমি আমার উঠোনের কোণে,
ভেবে বেড়াই কেনো দেখি তোমায় নিয়ে স্বপ্ন,
ঘুম ভাঙলেই হয়ে যায় আরেক দুঃস্বপ্ন।
সাগর পারে নিশির ডাক শুনেনা আর কেও,
সবাই মগ্ন মুঠোফোন হাতে,
করছে আলাপ প্রিয়র সাথে
সন্ধ্যা রাতে
সন্ধ্যা রাতে বিভীষিকা হাতে,
হাঁটছো কি তুমি?
চুপটি করে একা আলোর পথে,
আঁধার থেকে?
নেশায় ধরেছে তোমায়
আজ নেশায় ধরেছে তোমায়,
আজ নেশাতে মেতেছে তোমার ওই মন।
চলছে শুধু আজ চলছে,
চলছে এলোমেলো হয়ে, চলছে ক্ষিপ্র গতিতে।
বাইশ তারিখ
আচ্ছা, বন্ধু!
আজ রাতে চুপটি করে
একটা চিঠি লেখ,
লেখ তোমার মন দিয়ে,
মনের ভালোবাসা দিয়ে।
ঝড় তো বইবেই
ঝরে পড়া পাতার মতো
তোমরা যদি আজ ঝরে পর,
তবে কি হবে পরিবর্তন?
তবে কি হবে নতুন আনন্দ মিছিল?
কাল/আজ
হে বালিকা,
কাল মিথ্যে বলে তোমায় দিয়েছিলাম অপবাদ!
আজ তোমারই কাছে আমি করি তোমার সত্যের জয়গান।
লাল শাড়ী
মেটে সেই দেহতে যে লেগে ছিল তার আঁচল,
কৃষ্ণ সেই হাতগুলো যেন সেজেছিল সোনালী রঙে।
ময়ূর পালকটি রাঙিয়েছিল তার কেশ।
রূপবতি তন্নী
নয়ন দুটো তার যেন ধরে রেখেছে আমায়,
বেঁধে রেখেছে মোর দুটি হাত।
হঠাৎ করে কেঁপে ওঠে যখন তার ঠোঁট,
কি অকুল মায়ায় কেঁদে ওঠে এই মন!
আজও ভালোবাসি তোমাকে
আমি আজো ভালোবাসি তোমার মনের সেই চিলতে হাসিটাকে
আমি আজও খুঁজে বেড়ায় তোমাকে প্রতিটা নিঃশ্বাসে
তবুও তোমাকে চেয়ে থাকি নিজের স্বপ্নের অন্তরালে
আজ বা কাল হয়ে যাবো তোমারি
শুধু অমানুষই পারে
আমার এত কিছু কেমনে মনে রাখো তুমি?
কারণ আমি অমানুষ-
শুধু অমানুষই পারে সবকিছু মনে রাখতে,
শুধু অমানুষই পারে এভাবে ভালোবাসতে।
এই বৃষ্টির দিনে
এই বৃষ্টির দিনে
নীল শাড়ীতে তোমায় দেখতে পারলে,
বেশ হতো।
এই বৃষ্টির দিনে
তোমার ভিজা চুলের গন্ধ পেলে
বেশ হতো
নিজ ভুবনে
নিজের ভুবনকে পুতুল বানিয়ে আমি
নিয়ে যেতে চাই দেশ বিদেশ কাল কালান্তরে,
কোথায় পাব এই প্রশান্তি আমি?
কোথায় পাব এই স্নিগ্ধতা আমি?
মরীচিকা ও জীবন
জন্মেছি আমি মরীচিকার ন্যায়,
হঠাৎ শেষ হয়ে যাবে এই ক্ষনিকের ব্যাপ্তি.
থেকে যাবে শুধু কর্ম নিজের,
তাই হবে পরিচয়, তাই হবে নিয়তি,
নবীন যোদ্ধারা
নবীন যোদ্ধাদের জীবন হয় ক্ষণিকের,
তারা বাচে বাচার তাগিতে,
স্বপ্ন থাকে, ইচ্ছা থাকে, আক্ষেপ থাকে,
তাও তাদের জীবনের যুদ্ধে হার মানতে হয়,
সমাজের সামনে মানা নত করতে হয়।
কবিতার বই
একদিন একটা কবিতার বই হবে,
বইয়ের সকল পাতায় থাকবে তুমি,
সকল পাতায়, সকল লাইনে, সকল দাড়ি -কমাতে,
শুধু কবিতা ও কবিতার বইয়ের মধ্যেই থাকবে তুমি,
বাস্তবে নয়, পাশে নয়, মুখোমুখি নয়।
শুধু তোমাকে চাই
মেঘলা দিনে বা ঝড়ের বাতাসে,
আমি শুধু তোমাকে চাই।
কাক ডাকা ভোরে কিংবা তপ্ত দুপুরের রোদে,
আমি শুধু তোমাকে চাই।
খরা মৌসুমে বা বৃস্টির দিনে,
আমি শুধু তোমাকে চাই।
৭ মাস ৭ দিন
৭ মাস ৭ দিন কেটে গেলো,
তোমার রাগ এক আনা ও কমেনি।
৭ মাস ৭ দিন কেটে গেলো,
তোমার সাথে প্রাণ খুলে কথা বলিনি।
আমরা যাদের হারায়
আমরা যাদের হারাই,
যারা আমাদের হারায়,
আমরা যখন তাদের মনে করি,
তারাও কি আমাদের তেমনি ভাবে মনে রাখে।
বসন্তের মেঘ
মেঘ জমেছে ফের তোমার মনের উঠোনে,
বৃষ্টি নামুক ফের তোমার শীতল হৃদয়ে.
গোধূলি বেলায় ফের দেখা হবে বলে।
অপেক্ষায় রয়েছি তোমার হ্রদয়ের তরে।
সুন্দরবন
সুন্দরবনে এক সুন্দর মৃত্যু চাই আমি,
নোনাপানির সাথে আমার তিক্ত জীবন
মিশে একাকার হয়ে হারিয়ে যাবে,
ছোট ছোট খালে ভেসে বেড়াবে আমার স্বপ্ন।
আকাশের ছবি
তুমি যখন আকাশের ছবি তুলে বেড়াও
মনের ক্যানভাসে নতুন রঙের আলোয়,
আমি খুঁজে বেড়ায় পশুরের কাদামাটিতে
তোমার চুলের সে চির পরিচিত গন্ধ।
ভালোবাসা কে
ভালোবাসার খোজ করো না
ভালোবাসাকে হারাতে দিয়ো না,
ভালোবাসাকে দূরে যেতে দিয়ো না,
ভালোবাসাকে শেষ হতে দিয়ো না।
আমার দেখানো পথ জুড়ে
আমার দেখানো পথ জুড়ে
তোমরা হেটে যাও প্রতিদিন,
কিন্তু আমি সেই পথ ধরে
কখনো হেঁটে যেতে পারিনি।
আমি জীবন কে
আমি জীবন কে নতুন রঙে ভাসাতে চাই,
আমি আকাশকে সবুজ রঙে ফির আঁকতে চাই।
আমি চাই আমার জীবনের ত্রুটি মুছে দিতে
আমি চাই আবার নতুন করে বাঁচতে।
খালি পাতা
যদি লেখা না হয় কবিতা আর,
তবে থেমে থাকবে নাকি জীবন সবার?
দিনকাল কি চলবেনা? রাস্তার ধারের মানুষের?
কিশোর বালিকার চুল কি উড়বেনা দক্ষিণা বাতাসে?
মুয়াজ্জিনের আজান
মুয়াজ্জিনের আজান আর এভাবে শুনা হবেনা,
সামিল হওয়া হবেনা একসাথে জামাতে,
মুখ দিয়ে হয়তো নেয়া হবেনা তোমার নাম,
জীবন যে আজ ফুরিয়ে আসছে, ফিরছি যে আমি তোমার নিকট
অপঠিত চিঠি
সেদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি,
আমার চিঠিগুলো ছড়িয়ে আছে মেঝেতে.,
মাঝখানে বসে তুমি পড়ছো সেগুলো একে-একে,
আমার দিক চোখ পড়তেই তোমার
আটকে উঠে প্রশ্ন করলে, আমায় কাকে নিয়ে লিখেছো চিঠি এত?
যদি আর না ফিরি
যদি আর ফেরা না হয় ঘরে,
যদি না পারি ফিরতে আর ভুবনে,
আমার স্মৃতিচিহ্ন গুলো মুছে দিও না,
আমার অস্তিত্ব বিলীন করো না।
বিপর্যয়
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে
মুখ ফেরালেই দেখা যায়,
এতো কাছে কবে এলো?
কেউ বুঝলোনা, কেউ জানলোনা।
দূর নগরে বিপর্যয়
হয়তো কোনো দূর দেশে তুমি
কোনো এক দূর নগরে বসে;
নীরবে করে যাও সবই,
নীরবে সয়ে যাও সবই।
কবিতাগুলো আবার
আমি কবিতাগুলো আবার পড়ে দেখতে চাই
যেন আমি খুঁজে পেতে পারি
হারানো বেদনা বা ভুলে যাওয়া গান
কিছু সুন্দর স্মৃতি আবার পড়ে দেখতে চাই
বিসর্জন
তবুও বিসর্জন দিতে হয়
নিজেকে নতুন করে খুঁজতে
অতীত বিসর্জন দিতে হয়
সামনে এগিয়ে যেতে গিয়ে
পিছনের স্মৃতি ভুলতে হয়
অপেক্ষা
শুধু প্রহরই গুনে যাই
আবার কখন দেখবো তোমাকে
আবার কখন উঠবে লাল সূর্য
আলো ফুটবে এ অন্ধকার আকাশে
অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী
কোথায় যেন আর্তনাদ শোনা যায়
বেঁচে থাকার লড়াই চলতে থাকলে
চিৎকার হাহাকার আকুতি মিলেমিশে একাকার
বাঁচার ইচ্ছা ঘনীভূত হতে থাকে
কোনো একদিন
কোনো একদিন ঐ রূপসা নদীর তীরে
শাড়ির আচল দেখে তোমার, ভালোবেসে ফেলবো
তখন কি তুমি আমাকে জানাবে কেবল
যে তুমি ভালোবাসোনা আমায়, বাসোনি কখনো
যদি ভালো না ই বাসো
যদি ভালো না ই বাসো
তবে কবিতা বুঝালাম কেনো
কাছে আসতে যদি না চাও
তবে হাত ধরেছিলে কেনো বলো
অন্যের
যখন তুমি হয়ে যাবে অন্যজন এর
তখন কি আমি আর তোমায় ভালোবাসবোনা?
তোমার হাসির শব্দগুলো কি শোনা হবে না
আমার লেখা কবিতাগুলো তোমার নিকট পৌঁছাবেনা?
মৃত্যুর স্বাদ
মৃত্যুর স্বাদ কি সবাই পায় বলো
মৃত্যুকে ভয় করিয়া বা কি লাভ
আলিঙ্গন সে যে করবে মোদের সকলকে
কাল শেষে সবই যাবে মাটিতে মিশিয়া
সায়াহ্নে
হয়তো এই পৃষ্ঠা একদিন হারিয়ে যাবে
থাকবেনা পরিচিত কোন মুখ আমাদের মাঝে
তবে তোমায় নিয়ে লেখা আমার পঙক্তিগুলো
রয়ে যাবে কোনো এক পাঠকের মনে
নকল
বাঁচে সে নিজেকে কষ্ট দিয়ে
বাঁচে সে অন্যকে হাসি ফুটাতে চেয়ে
তবেও দিন শেষে আজ সে অমানুষ
তবেও দিন শেষে আজ সে নকল
সেদিন দেখেছিলাম
সেদিন দেখেছিলাম তোমায়
পহেলা বৈশাখের সেই প্রথম আলোয়
দেখেছিলাম তোমায় নয়ন জুড়ে
আহ কি মিষ্টি সেই হাসি কি মিষ্টি তার মায়া
বদলায়নি কিছুই
এভাবে রেখে যেয়োনা আমাকে
বড়ই একলা লাগে আমার
এভাবে ছেড়ে যেয়োনা আমাকে
বড় আকাশের নিচে একা বসে আছি আজ
আকাশে আজ ঠাণ্ডা, নীল রঙটার ফুটে উঠেছে
চারিদিকে পাখি ডাকছে নেই কোন যানবাহনের শব্দ
মিত্র বসে বসে ভাবছে দশ দিন চালু না করাতে কি তার তার গাড়িটি কি ঘুমিয়ে পড়বে কিনা
ঠিক তখনো রান্নাঘর থেকে কড়া গন্ধ আসতে লাগলো, গন্ধটা দুধ ফুটানোর এবং তা মিষ্টি
আজ বহুকাল পর
আজ বহুকাল পরে হয়েছে তোমার সাথে দেখা
নিষ্প্রাণ নগরীর কোনো এক নিষিদ্ধ গলিতে
আজ হঠাৎ করে পেয়েছি তোমার ঐ দুটি নয়নের দেখা
হয়তো বা দেখেছি গুটি কয়েক সময়ের জন্য
তবে সেই দেখা যেনো এনেছিল হাজারো মিলনের তৃপ্তি
নেশা
নেশার মতো করে নিজেকে ধ্বংস করতে চাই আমি
পোড়া সিগারেটের মতো দেহটি পোড়াতে চাই আমি
চাই আমি মিশে যেতে মাটির সাথে
যে মাটির সাথে মিশে আছে হাজারো বছরের ইতিহাস
রমণী
রমণী আজ বহুকাল পরে তোমার সাথে দেখা
কতদিন কেটে গেল, কত সময় পার হয়ে গেল
তবে আজ কেন জানি সব আবার নতুন করে শুরু
শুরু নতুন এক পথচলার, শুরু এক অভিশপ্ত ভালোবাসার।
শেষ বেলাতে
স্বাধীনতার সেই সূর্যটাই আজ অম্লান
বহুকাল হয়েছে তবে
প্রান্ত থেকে হেঁটে আজ পরিশ্রান্ত আমি
রক্তাক্ত সেই প্রান্তরে আজ সবুজের খেলা
ফিরে এসেছি আমি
একা বসে শেষ বেলাতে
শব্দ
চোখ বন্ধ করিয়া আমি ভাবি তাহার কথা
বৃষ্টি টুপটুপ শব্দে যেন হেটে চলে সে
নূপুর পায়ে তার ঝুমঝুম শব্দ করে
এই যে এক মৃদু শব্দের অনুভূতি
এই যে এক বিস্তর কল্পনা
তোমার অবয়ব
প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোমার অবয়ব
চিৎকার করে চলে তোমার স্নায়ু
প্রতিটি নিঃশ্বাসে ঝরে পড়ে
মৃত্যু
কেনো মৃত্যু এত সুন্দর , এত মিষ্টি
যে সৌন্দর্য্যে জীবন হতে হয় নিঃশেষ
যে মিষ্টির সাদ ভুলায় জীবনের মায়া
পেতে চাইলেই পাবে তবে সাহস কি হবে
প্রেম
প্রেম কি আর বয়স দিয়ে মাপা যায়
নাকি যায় তাকে কোন বাক্সে বন্দি রাখা
সে যে চলতে থাকে নিজ আনন্দের গতিপথে
যদি পায় সে স্থান কোন প্রেমিকের হৃদয়ে
পৃথক পথ
হয়তো আর কখনো দেখা হবে না
হবে না একসাথে হাঁটা সোজা কোন পথে
তাও কি দিগন্তের ওপারে হাঁটবে তুমি একা
ভিন্ন কোন শহরে
আমার মতো একই আকাশের নিচে
মিষ্টি মুখে
বিমর্ষ এই প্রেম কি তুমি জানো
মনের অন্তরালে মিশে যায় শরীরের সাথে
বিষন্ন পথহারা রক্তাক্ত এ মন কেন
খুঁজে বেড়ায় তোমাকে ধূসর মরুভূমিতে
ধর্ম
আজানের এই ধ্বনির সাথে,
যদি তোমাকেও মনে পড়তো,
তবে কেমন হতো এই বেলা,
কেমন হতো আমার রথযাত্রা |
ক্ষমার অট্টহাসি
ক্ষমা কি কেউ করেছে তোমাকে কবে?
নাকি শুধু অট্টহাসি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে
ভুল করার মধ্যে যদি ভুল থাকে?
তবে ক্ষমা চাইতে কেনো মুখ বাঁধে?
ধ্বংস
রাতে শুরু হওয়া প্রতিটি স্বপ্নে,
হাসি ফুটিয়ে আনে নিজের প্রতিটি অনুভূতিতে,
রাত হতে শেষ হয়ে চলা প্রতিটি স্বপ্নের,
হাহাকার নিরাশ এই দিগন্ত জুড়ে |
নতুন
বলেছিলাম চিরকাল হয়ে থাকবো তোমার,
চিরকাল যে ক্ষীণ হয়ে আসবে,
তা যে বুঝে উঠতে পারিনি |
বট ভলোবাসা
বট গাছটাও মাটিকে কত ভালোবাসে জানো
এতই বেশি যে নিজের শাখা থেকে
শিকরের সৃষ্টি করে
সেই শাখা পৌঁছে যায় মাটির গভীরে
যাতে করে তার প্রিয় মাটি থেকে
ডিসেম্বরের দুপুর
কত কাল বাদে যে কথা হলো,
জানা হল, শুনা হলো তোমায়,
এই মিষ্টি মুহূর্ত গুলো দিয়ে,
বানাবো কোন একদিন একটি মালা |
খারাপ
আমিও তাও কত খারাপ দেখেছি এ জীবনে,
করেছিও বা কত পাপ,
তাও প্রতিবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ,
দাবি করে যাই আমি নিষ্পাপ |
হারিয়ে যাওয়া
একবার হারিয়ে কি কেউ যেতে পারে,
কথা নেই বার্তা নেই নিশ্চুপ পলায়ন,
এ কেমন হারিয়ে যাওয়া হয় তোমার,
কেনো তুমি গুটিয়ে নাও নিজেকে এভাবে |
ভুলতে পারিনা
তোমাকে আজও ভুলতে পারিনা বলে,
তোমার গলিতে ঘুরেফিরে প্রতিনিয়ত ,
রেখে আসি আমার লেখা চিঠি,
রেখে আসি এক টুকরো নিজেকে |
চায় তোমাকে
আজ মন শুধু তোমাকে চায়,
চায় তুমি থাকো আমারই পাশে,
চায় ধরিতে তোমার নরম হাত,
চায় তোমার চুলের সেই সুগন্ধ |
যদি আমি পারিতাম
যদি আমি পারিতাম ,
তবে তোমাকে বাধিয়া রাখিতাম,
যদি আমি পারিতাম ,
তবে সারা বেলা তোমার ছবি আকিতাম,
যদি আমি পারিতাম ,
এক অমর কাব্য লিখিতাম |
প্রিয় শহর
কতকাল দেখিনা আমি তোমায়,
হাঁটি না তোমার সবুজ পথে ,
সকালের পবিত্র বাতাস কতকাল ,
আমার গায়ে এসে লাগেনা |
আশা
আজও আশা রেখে যাই,
একদিন পৃথিবী সুন্দর হবে,
থাকবেনা অনাচার, থাকবেনা দুঃখ,
মানব মন হবে বিশুদ্ধ |
ত্রুটি
আমার মধ্যে ত্রুটি আছে বলে,
প্রতি বেলা পরিবর্তনের চেষ্টা চলে,
আমার মধ্যে ত্রুটি আছে বলেই,
কালকের আমাকে আজ বদলাতে হয়েছে |
এই শহরে
এই শহরের সবাই বলে,
তোমাকে যেনো আমি ভুলে যাই,
কেনো তুমি ইতিহাসের এক,
মুছে যাওয়া অধ্যায় |
আবার
যদি আলো এসে না পারে পৌঁছাতে কখনো ,
অন্ধকার বন্দী ঘরে, পর্দার আড়ালে,
যদি ঝড়ো কোনো এক সন্ধ্যাবেলায়,
না পাই খুঁজে নিজের গন্তব্য |
যদি
যদি কোনো দূর নগরে হয় তোমার সাথে দেখা,
শুধু কি চেয়ে দেখবে আমায়,
নাকি কাছে এসে পাশে বসে,
বলবে তোমার নিদারুণ জীবনের কথা |
যখন তুমি
যখন তুমি হয়ে যাবে অপরের,
এভাবে রাখবে কি খবর আমার,
জানতে চাইবে কি ,
কোথায় আছি কেমন আছি |
বিধ্বস্ত
বিধ্বস্ত হয়েছি আমি,
প্রতি অমাবস্যার রাতে,
বিলাপ করেছি আমি,
প্রতি পূর্ণিমার রাতে |
ভালোবেসো
১০০ দিবস কেটে গেলো,
তোমার চিঠি আজও আছে
ব্যাগের মধ্য পকেটে,
যত্নে রাখা, আগলে রাখা।
তুমি
কোনো এক পূর্ণ চন্দ্রের নিচে,
হয়তো একাকী বসে থাকবে তুমি।
কোনো নদীপাড়ে কিংবা কোনো দূর পাহাড়ে,
ভাবিবে যখন জীবনের সব মায়াজালে বন্দী।
তখনই দখিনা হাওয়ার মতো করে;
তোমায় ফের লেপ্টে নিবো আমি।
জন্মদিনে
আবার কোনো এক জন্মদিনে তোমার,
পাঠাবো তোমায় এক রঙিন চিঠি;
লিখবো তোমায় নিয়ে কোনো নতুন কবিতা,
সেই চিঠি পড়ে আবার কি হেসে উঠবে তুমি?
আমার লিখা কবিতা কি স্থান পাবে তোমার মনের আঙিনায়?
মরীচিকা
পাখির শব্দ যখন ধরে উঠছিল মোর চারিপাশ,
হঠাৎ পাশ ফিরে দেখি তুমি জেগে আছো,
মায়াভরা চোখ দিয়ে তাকিয়ে আছো,
সেই চোখের মধ্যেই যেনো ডুবে যাই আমি।
তারণা
মিষ্টি ঠোঁটে তোমার চুম্বন করি,
এনে দেয় শীতের রাতে গ্রীষ্মের উষ্ণতা
সালের মতো জড়িয়ে নেয় আমার।
যদি
যদি লেখা না হয় কবিতা আর,
তবে থেমে থাকবে নাকি জীবন সবার?
দিনকাল কি চলবেনা, রাস্তার ধারের মানুষের
কিশোর বালিকার চুল কি আর উড়বেনা দখিনা বাতাসে?
নিষিদ্ধ প্রেম
সেই মন জুরানো চুল গুলো তোমার,
সেই গন্ধ, সেই নরম কালো চুল
বারবার দেখে যাই , বারবার কাছে পেতে চাই,
কবে আসবে চুলজোড়া তোমার আমার হাতে
কবে নিব আমি তার গন্ধ হৃদয় ভরে |
বিদায়
তুমি বিদায় জানানোর পর,
আমার কলম থমকে যায়,
দখিনা বাতাস স্তিমিত হয়,
নদীর জল শুকিয়ে যায় |
নামহীন কবিতা ১
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়া
এক হাতের উপর আরেকটি হাত
চোখে অশ্রু