To-Do List
How Can You Start the Day
জীবনে যদি আপনি চলতে চান বা এগিয়ে যেতে চান তাহলে তো আপনাকে সব দিনই শুরু করতে হবে। জিনিসটা সহজ করার জন্য আমরা বলতে পারি যে দিনের শুরু তখনি হয় যখন আমরা ঘুম থেকে উঠি, যদিও এই ব্যাপারটা হয়তো এখন অনেক বদলে গেছে। আমি অনেক যে জানি যারা এখন নিজেদের ইনসোমনিয়াক হিসেবে দাবি করে, দাবি করে বলতে যেহেতু ইনসোমনিয়া একটা মেডিকেল কন্ডিশন তাই আমার মতে একটা ডাক্তার বা মেডিকাল প্রফেশনাল যদি আপনাকে না বলে যে আপনি ইনসোমনিয়াক তাও যদি আপনি নিজেকে ইনসোমনিয়াক বলে থাকেন সেটা হচ্ছে দাবি করা।
তাও সবার কথা বিবেচনা করে আমি বলবো যখন আপনি ঘুম থেকে উঠেন তা হোক সকালে কিংবা দিনের মধ্য বেলাতে তখনি আপনার প্রকৃত দিন শুরু হয়। এই শুরু হওয়া থেকে পরের ১ ঘণ্টা আপনি কি করবেন বা করতে চান তার উপর আপনার অনেক কিছু ডিপেন্ড করে থাকে বলে আমি মনে করি। ধরে নেওয়া যাক দিনের শুরুতে আপনি বাসা থেকে একটু হাঁটতে বের হলেন ভালো বাতাস বা ফ্রেশ এয়ার পাওয়ার জন্য, এখন পথের মধ্যে যদি একটা কাক আপনার উপর ময়লা ফেলে দেয় তাহলে আপনার দিন কিন্তু বেশ মন্দভাবে শুরু হয়েছে, অন্যদিকে আপনি এই হাঁটতে বের হওয়ার সময় দেখলেন একজন গরীব মানুষকে এবং তাকে আপনি পকেট থেকে ১০-১৫ বা আপনার সাধ্যমতো কিছু টাকা দিলেন, এতে করে আপনার দিন ভালো যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কারণ আপনার মন ভালো থাকে।
এখন আমরা কিভাবে এই ভালোটা শুরু করতে পারি তাই হচ্ছে দেখার বিষয়। আমি চেষ্টা করব কিছু কাজের কথা বলার যেগুলা আপনার দিন ভালোভাবে শুরু করতে বেশ সাহায্য করতে পারে। এবং একটা ওয়ে যে সবার জন্য কাজ করবে এমন কোনো কথা নয়। আপনি সবগুলা থেকে যা যা আপনার ভালো লাগে তা নিয়ে নিজের মতো হলেও একটা রুটিন বা প্ল্যান বানিয়ে নিতে পারেন এবং আপনার প্ল্যান অন্য কারো সাথে না মিললে তাতে কিছু যায় আসে না যদি ওই প্ল্যান বা রুটিন আপনাকে এবং আপনার মনকে আনন্দ দিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে ধার্মিক নিয়মে দিন শুরু করতে পারেন, যেমন ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ওযু করে আপনি নামাজ পরতে পারেন, এবং তারপর কিছু দুআ পড়তে পারেন বা কুরআন শরীফ পড়তে পারেন। তারপর আপনার যে হবি আছে তাতে মনোনিবেশ করতে পারেন। অনেকে গার্ডেনিংটা প্রেফার করে থাকে, সকাল বেলা একটা নতুন ফুল ফোটা বা নিজের গাছের একটা নতুন পাতা দেখার মজাই আলাদা। তাছাড়া চাইলে আপনি বারান্দায় বা ছাদে বসে আকাশের দিকে শুধু শুধু তাকিয়ে থাকতে পারেন। শুনতে খুব আনপ্রোডাক্টিভ হলেও, life is not always about productivity. এই ১০-১৫ মিনিট খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনার মনের পরিধিও বড় হবে না খালি, আপনি চাইলে পুরা দিনের প্ল্যানটা করে ফেলেন এই সময়ে। তাছাড়া বই পড়া বা একটা ছবি আঁকার মতো কাজ তো আছেই। মূলকথা হচ্ছে দিনের শুরুটা হতে হবে on a positive note. একদিন করে ভালো লাগলে আপনি কন্টিনিউ করবেন, না লাগলে চেইঞ্জ করে অন্য ওয়ে ও খুঁজে বের করতে পারেন, লাইফ রেইস হোক বা না হোক,life is about finding what you are and what your purpose is। এখন কারোর পারপাস হতে পারে বিলিয়ন টাকার মালিক হওয়া, কারো পারপাস হতে পারে একটা আরামের ঘুম। এইখানে আমার মতে কারো পারপাসই কারো থেকে ছোট বা বড় না কারণ দিন শেষে জীবনটা আপনার এবং আপনার নিজ জীবনের উপর যতো বেশি কন্ট্রোল থাকবে ততই আপনি ভালো বা অন্য কথায় সুখী থাকবেন।
ধার্মিক স্টাইল যদি আপনার সিস্টেম বা আপনার মনের মতো না হয়, তাহলে আপনি একটু মডার্ন স্টাইলও ফলো করতে পারেন। যেমন দিনের শুরুতে ১৫ মিনিট জগিং করা তারপর কিছু স্ট্রেচিং করা, এতে করে আপনার মাসল বা স্কেলেটন সিস্টেম ভালো থাকবে, প্লাস আপনি ফ্রেশ এয়ার পাবেন which will help you a lot। আমি বলবোনা যে এর জন্য আপনাকে জিম মেম্বারশিপ নিতে হবে, সাধারণ স্ট্রেচিং এর জন্য আপনি ইউটিউব অর গুগলে সার্চ করলেই ভালো ভালো ইন্সট্রাকশন পেয়ে যাবে যা দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন, শুরু করে তা ১ মাস বা ২-৩ মাস ক্যারি করার পর আপনি আপনার নিজের ওয়ে নিজেই বলে দিতে পারবেন যা আপনাকে আপনার লাইফের উপর আরো কন্ট্রোল দিবে। তাছাড়া আপনি আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হবেন, যেটার কারণে আপনার লেইজিনেস বা টায়ার্ডনেস অনেক অংশে কমে যেতে পারে। আমি ২০২০ সালে লকডাউনের সময় প্রথম ওয়ার্ক-আউট শুরু করি এবং ২০২০ সালে প্রায় ২০ কেজি এর মতো ওয়েইট লস করি, তখন থেকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠা হ্যাজ বিকাম এ পার্ট অফ মাই হ্যাবিট। শুধু তাই না, সকালে উঠে ওয়ার্ক-আউট, নামাজ বা আপনার একটা হবি আপনাকে যে বুস্ট টা দিবে তা আপনাকে বেশ সাহায্যই করবে আপনার পুরো দিনের অসহনীয় কাজগুলো করে যেতে। আপনি এই একটা মোমেন্ট পার করার জন্য ডেইলি তাকিয়ে থাকবেন এবং এই তাকিয়ে থাকাটাই আপনার জীবনের পথ আরো সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে।